নিজস্ব প্রতিবেদক,সদর দক্ষিণ
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের সুয়াগাজী ভাটপাড়া তারাপুর থেকে অপহরণের পর সাত বছরের শিশু বাপ্পিকে হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উন্মোচন ও মূল আসামী সেলিম প্রকাশ রুবেলকে গ্রেফতার করেছে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার বিকালে সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী জানান , গত ১৭/০৪/২০২২ তারিখ সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন ধনাজোর গ্রামের জলাশয়ে মৃত ও অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া শিশু আরাফাত হোসেন বাপ্পী (০৭ বৎসর) এর হত্যাকারী নিহতের মায়ের বর্তমান স্বামী (নিহতের সৎ পিতা) মোঃ সেলিম প্রকাশ রুবেল (২৫), পিতা-মোঃ জলিল হক প্রকাশ ফজলু মিয়া, সাং-ধনাজোর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লাকে পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মোহাঃ বিল্লাল হোসেন, তদন্তকারী অফিসার এসআই(নিঃ) শাহীনুর ইসলাম, এএসআই(নিঃ) মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে গতকাল ২০/০৪/২০২২ তারিখ রাত্রে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায় আসামীর নিজের ঔরষজাত নবজাতকের মাথায় সম্প্রতি শিশু বাপ্পি আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে তিনি শিশু বাপ্পিকে চড় মারেন। এ নিয়ে শাশুড়ি অর্থাৎ নিহত শিশু বাপ্পির নানীর সাথে আসামীর বাদানুবাদ হয়। তখন আসামীর মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েও তিনি চিন্তা করে পথের কাঁটা আরাফাত হোসেন বাপ্পীকে পৃথিবী থেকে অপসারনের ফন্দি আঁটেন। যার ফল স্বরূপ তিনি গত ১৫/০৪/২২ তারিখ সকাল অনুমান ০৯:০০ ঘটিকায় বাপ্পীকে তার মামার বাড়ি সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন তারাপুর গ্রাম থেকে কৌশলে নিয়ে যায় এবং আসামী নিজের বাড়ির কাছাকাছি পাথারে (জলাশয়ে) নিয়ে গলায় একটি রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এরপর পানিতে ডুবিয়ে রাখেন। ঘটনার পর থেকে মৃতের নানা জালাল মিয়ার কান্নাকাটি দেখে নিজে সেই লাশ নিজ হাতে বের করে নানা জালাল মিয়া (আসামীর শ^শুড়) এর হাতে গত ১৭/০৪/২০২২ তারিখ সন্ধ্যায় দেন এবং তাৎক্ষনিকভাবে আত্মগোপনে চলে যান। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পরে তিনি উল্লেখিত ঘটনার বিস্তারিত বিবরন দেন এবং আজকে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করায় আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় তার উল্লেখিত জবানবন্দী বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক লিপিবদ্ধ করা হয়। ঘটনায় আর কারও জড়িত থাকবার ব্যাপারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন ইন্ধন বা সহযোগীতা বা প্ররোচনা রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জবানবন্দী প্রদান শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।